আমিন মুনশিঃ রমজান শব্দটি এসেছে আরবি শব্দের ‘রমজ’ মূলধাতু থেকে। এর অর্থ জ্বালিয়ে দেওয়া, পোড়ানো ও ভস্ম করে দেওয়া। বান্দা যেহেতু এই মাসে তার কুপ্রবৃত্তিসমূহ জ্বালিয়ে ভস্ম করে দেয়, তাই একে রমজান বলে। গুনাহের বোঝা দরবারে নিজেকে পেশ করে তারই অনুগত হিসেবে; আর এতেই নিহিত রমজানের মাহাত্ম্য। পবিত্র কোরানের যে আয়াতটি নাজিল হয়, তা হলো- ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোযা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পারো’। (সুরা: বাকারা, আয়াত: ১৮৩)
কুরআনুল কারিমে আরো বলা হয়েছে: ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এই মাস পাবে, সে যেন রোযা রাখে’। (সুরা: বাকারা, আয়াত: ১৮৫) রমজান মাসের ফরজকৃত রোজা পালনে আছে সীমাহীন ফজিলত ও অফুরন্ত বরকত। রয়েছে রহমতের অপরিমেয় ভাণ্ডার। এই মাস এলেই আল্ল−াহ পাক তার বান্দার প্রতি দয়ার দৃষ্টি বাড়িয়ে দেন; এবং আমলনামা ভরপুর করে দেন অগণিত সওয়াব ও নেয়ামতে। হাদিস শরীফে এসেছে, ‘যখন রমজান মাস আসে, আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, আর শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়’। (সহীহ্ বুখারী ও মুসলিম)
রমজান মাসে ঈমানদারের সামনে শয়তানের বেশিরভাগ কুমন্ত্রণাই তখন বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। বিশেষত এই মাসে অধিকহারে ইবাদতের কারণে। এছাড়া ভেজালমুক্ত ইবাদতের সুযোগ বেড়ে যায়। তাই বহুল আকাঙ্খিত জান্নাত লাভের সহায়কও বটে। হযরত সাহল ইবনে সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: ‘বেহেশতের আটটি দরজা রয়েছে। তারমধ্যে একটি দরজার নাম রাইয়ান। রোযাদার ব্যাতীত আর কেউ ঐ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না’। (সহীহ্ বুখারী ও মুসলিম)