পুরোদমে এগিয়ে চলছে পায়রা সেতুর কাজ

প্রকাশের সময় : 2019-03-13 12:16:58 | প্রকাশক : Admin পুরোদমে এগিয়ে চলছে পায়রা সেতুর কাজ

সিমেক ডেস্কঃ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা এবং পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলাকে এক সুতায় গাঁথতে তৈরি হচ্ছে পায়রা সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ সম্পন্ন।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলি সেতুর আদলে নির্মানাধীন চার লেন বিশিষ্ট পায়রা সেতুটি ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই সেতুর কাজ শেষ হলে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে দক্ষিণাঞ্চলের।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নূর-ই-আলম জানান, বরিশাল ও পটুয়াখালী প্রান্তের সব কয়টি পাইল ও পিয়ারের কাজ শেষ হয়েছে। ১টি স্ল্যাবের কাজ শেষ হয়েছে। মূল ব্রিজের ৫টি পিয়ারের মধ্যে ৩টির পাইল, পিয়ার ক্যাব ও পিয়ার হেডের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৮ নম্বর পিয়ারের কাজ চলছে এবং ১৭ নম্বর পিয়ারের কাজ আগামী মাসে শুরু করতে পারবো। এভাবে কাজ চলতে থাকলে ২০২০ সালের জুন সাসে সেতুটির কাজ করা যাবে বলে আশা করি।

পায়রা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এ সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৪৭০ মিটার ও প্রস্থ ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সেতুর দুই দিকে এপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য হবে  ১ হাজার ২৬৮ মিটার এবং প্রস্থ ২২ দশমিক ৮০ মিটার। এছাড়া পটুয়াখালী প্রান্তে ১৬টি ও বরিশাল প্রান্তে ১২টি পিয়ার হবে ৩০ মিটার করে। এছাড়া নদীর মাঝখানে ২০০ মিটার করে ৫টি পিয়ার থাকছে। মাঝে লেন ছাড়াও থাকছে ১ মিটার দৈর্ঘ্যরে ফুটপথ। কর্ণফুলী সেতুর আদলে মূল সেতুতে স্প্যান বা পিয়ার থাকছে ৪টি। মাঝ নদীতে দু’টি ২শ’ মিটার ও বাকি দুটি ১১৫ মিটার করে। প্রতি স্প্যানের দূরত্ব হবে ৬৩০ মিটার। নদী থেকে সেতুর উচ্চতা হবে ১৮ দশমিক ৩ মিটার।

লেবুখালীর পায়রা সেতু নির্মিত হলে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যে একটি নতুন যুগ শুরু হবে। এখানে গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্প কারখানা। সাগরকন্যা কুয়াকাটাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। এলাকাবাসীর মধ্যেও আনন্দ বিরাজ করছে সেতুটিকে ঘিরে। এ সেতুটির কাজ শেষ হলে পটুয়াখালী থেকে ঢাকা যেতে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা সময় বাঁচবে। দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ফেরিমুক্ত যোগাযোগ সম্ভব হবে। তখন জনসাধারণের দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনা লাঘব হবে।