দেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুতকেন্দ্র

প্রকাশের সময় : 2018-11-21 13:50:51 | প্রকাশক : Admin দেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুতকেন্দ্র

সিমেক ডেস্কঃ দেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুতকেন্দ্র কক্সবাজারের টেকনাফে সম্প্রতি চালু হয়েছে। এই বিদ্যুতকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ২৮ মেগাওয়াট। এর মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুত উৎপাদনের পরিমাণ দেশের মোট চাহিদার পাঁচ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলো।

টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি লিমিটেড ১১৬ একর জায়গায় এই বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। সেখান থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। সোলারটেক এনার্জি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুহের লতিফ খান জানিয়েছেন, এই বিদ্যুতকেন্দ্রের মাধ্যমে টেকনাফের মোট বিদ্যুত চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশের জোগান দেয়া সম্ভব।

টেকনাফ উপজেলার আলীখালী এলাকায় কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পূর্ব পাশে বিদ্যুত কেন্দ্রটির অবস্থান। নাফ নদীর তীরে সারি করে বসানো হয়েছে ৮৭ হাজার সৌর প্যানেল। এ প্যানেলগুলোর মাঝখানে রয়েছে পাঁচটা উপকেন্দ্র। সৌর প্যানেল থেকে উৎপাদিত ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত প্রথমে মূল স্টেশনে রাখা হয়। পরে ওই এলাকার লেদায় অবস্থিত পল্লী বিদ্যুতের উপকেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়। এর আগে সর্বোচ্চ তিন মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার সৌর বিদ্যুতকেন্দ্র ছিল।

বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৫৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই হচ্ছে জলবিদ্যুত থেকে। আগামী বছর এই ক্ষমতা ৬০০ মেগাওয়াট হবে। এছাড়া পরের দুই বছর, অর্থাৎ ২০২০ ও ২০২১ সালে আরো এক হাজার ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুত উৎপাদন হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ২০২১ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে দুই হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রায় ৫২ লাখ বাড়িতে সৌর বিদ্যুত ব্যবহার হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের প্রায় ১২ শতাংশ মানুষ বিদ্যুত পাচ্ছে। ২০০৮ সালের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে ২০২০ সালের মধ্যে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের দশ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত করা হয়েছিল। ওই লক্ষ্যে পৌছার ক্ষেত্রে এখনো ৫ শতাংশ কম রয়েছে।