স্বস্তির সুবাতাস রাজনীতিতে
প্রকাশের সময় : 2018-12-06 14:48:58 | প্রকাশক : Admin
সিমেক ডেস্কঃ সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত সবাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের পরিস্থিতি আবার অস্থিরতার কবলে পড়ার যে শঙ্কা ছিলো তা দূর হয়েছে আপাতত।
এখন এটা অনেকটাই নিশ্চিত যে, দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তবে, সে নির্বাচন কতোটা গ্রহণযোগ্য হবে সেটা বলার সময় এখনো আসেনি। তা মূলত নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের কর্মকান্ডের ওপর। তারা যদি চান একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, তাহলেই সেটা সম্ভব হবে।
এতোদিন দেশবাসী এক অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে ছিলো। সরকারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত আসবে, নাকি আবারো রাজপথে নামবে এ নিয়ে সংশয়ে ছিলেন সবাই। অনেকেই শঙ্কিত ছিলেন এই ভেবে যে, দাবি পূরণ না হওয়ায় বিএনপি যদি নির্বাচনে না এসে আন্দোলনের পথে অগ্রসর হয়, তাহলে দেশে পুনরায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেশবাসীকে আপাত শঙ্কামুক্ত করেছে। বলা যায়, আমাদের রাজনীতির আকাশ থেকে বিশৃঙ্খলা-অশান্তির সিঁদুরে মেঘটি আপাতত সরে গেছে, আর দেশবাসীর মন থেকে কেটে গেছে ভয়।
এ বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে। তারা বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া একটি ইতিবাচক ঘটনা। এখন নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারলে রাজনীতিতে যে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে তা অব্যহত থাকবে। এ ক্ষেত্রে মূল দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তাদেরকে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তবে, ভবিষ্যতে যা-ই ঘটুক না কেন, এটা এখন এক রকম নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, দেশে সব দলের অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর এ ইতিবাচক সিদ্ধান্তে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বইতে শুরু করেছে সুবাতাস। দলগুলোর সংকীর্ণতা ও দলীয় স্বার্থান্ধতা সে সুবাতাসকে যেন সংঘাত-সংঘর্ষের লু-হাওয়ায় পরিণত না করে, সে দিকে দৃষ্টি দেয়া সবারই দায়িত্ব।