সূর্যের আলোয় দ্রুত এগোচ্ছে দেশ
প্রকাশের সময় : 2018-09-13 11:22:20 | প্রকাশক : Admin
সমুদ্র হকঃ সূর্যের রশ্মি বা সৌরশক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। নবায়নযোগ্য ২০১৭ গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্টে বলা হয়েছে, সৌরশক্তি ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম স্থানে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের ১৭ লক্ষ্যমাত্রার একটিতে জ্বালানির বিষয় আছে। এ ক্ষেত্রেও সৌরশক্তি বড় ভূমিকা রাখছে। সৌর বিদ্যুত তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তিকে (আইসিটি) দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে।
নগরীর চেয়ে গ্রামে বা প্রান্তিক পর্যায়ে সৌরশক্তি ব্যবহার হচ্ছে বেশি। হালে শহর ও নগরের বাসাবাড়িতে সোলার প্যানেল বসছে। সোলার প্যানেল হলো সূর্যের আলোকে বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যাটারির মাধ্যমে ধরে বিদ্যুত উৎপাদন ও ব্যবহার। দেশজুড়ে সৌরশক্তিতে বিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হয়েছে। গ্রামে, সাগরের বক্ষে, নদীর চরে, হাওড়-বাঁওড়সহ এমন কোন জায়গা নেই যেখানে সোলার প্যানেল বসছে না। কোন কোন বেদে পল্লীতেও সোলার প্যানেলে বিদ্যুত ব্যবহার হচ্ছে।
আশির দশকের শেষে বাংলাদেশের একজন বিজ্ঞানী যে সোলার প্যানেলকে এ দেশে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন সেই প্যানেল বাপ্তি পেয়েছে। প্রতি মাসে ৬৫ হাজারেরও বেশি সোলার প্যানেল বসছে। বছরে গড়ে বাড়ছে ৫৮ শতাংশ হারে। সোলার প্যানেলে গ্রামে বছরে কেরোসিনের সাশ্রয় হচ্ছে প্রায় ২ লাখ টন। গ্রামের গৃহস্থ ও কিষান বাড়ির ঘরের চালায় ও ছাদে সোলার প্যানেল চোখে পড়ে। অনেক আবাদি জমিতে ঘর বানিয়ে প্যানেল বসিয়ে সৌর বিদ্যুতে সেচ কাজ চলছে। এভাবে জমিতে ছোট্ট ঘরে ডিজেলে চালিত শ্যালো ইঞ্জিন বসিয়ে সেচ দেয়ার দিন ফুরিয়ে আসছে।
মানব জীবনে দৈনন্দিন কাজে বিদ্যুত অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। সৌরশক্তিতে কতক্ষণ বিদ্যুত রাখবে না রাখবে তাও নির্ধারণ করবে সোলার প্যানেলের মালিক। সোলার প্যানেলের কার্যক্রমটা এ রকম, ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়ে সূর্যের আলো থেকে শক্তি সঞ্চয় বা আহরণ করে বিশেষ এক ধরনের ব্যাটরির মাধ্যমে বিদ্যুত উৎপাদন করে তা দিয়ে লাইট ফ্যান ফ্রিজ কম্পিটউটার টেলিভিশনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী চলে। বাড়িতে কত ওয়াটের বিদ্যুত ব্যবহার হবে সেই হিসাব করে সোলার প্যানেল বসাতে হয়।
সঠিক নিয়মে সোলার প্যানেল স্থাপন ও উন্নত মানের ব্যাটারির মাধ্যমে বিদ্যুত উৎপাদন ও ব্যবহারে প্যানেল অন্তত ৩০ বছর টেকে। প্যানেল সরবরাহকারী এক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বললেন, একটি ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ হতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় নেয়। তবে উন্নত প্রযুক্তির ব্যাটারিতে এই সময় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। বর্ষা ও শীত মৌসুমে যদি দিনে (রেশনিং করে) পাঁচ ঘণ্টা করে বিদ্যুত ব্যবহার করা যায় তাহলে তিন দিন সূর্যের আলো না থাকলেও কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আবার সূর্যের আলো কিছুটা থাকলেও ওই সময়ে যতটা সম্ভব চার্জ দিলে বিদ্যুত প্রাপ্তি কিছুটা বাড়বে। এ বিষয়গুলো না জানার কারণে সোলার প্যানেলের গ্রাহকরা অনেক সময় হতাশ হয়ে যান। - জনকণ্ঠ